Greatest mathematician Ramanuj biography

ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিভার অভাব নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ব্যক্তিও এই উপমহাদেশেরই একজন, শ্রীকান্ত জিকচার। বিশটি স্নাতক ডিগ্রিধারী এই ভদ্রলোকের জন্ম ১৯৫৪ সালে। আর আমাদের আজকের প্রতিবেদনের নায়ক শ্রীনিবাস আয়াঙ্গার রামানুজনের জন্ম ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর ভারতের মাদ্রাজের তাঞ্জোর জেলার ইরেভদ শহরের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাদ্রাজ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রামটিতে দাদীর বাড়িতেই প্রথম পৃথিবীর আলো দেখেন পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই গণিতবিদ। রামানুজনের বয়স যখন মাত্র এক বছর, তখন তার মা তাকে নিয়ে কুম্বাকোনাম শহরে চলে আসেন, মাদ্রাজ থেকে এটি ১৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী। এখানে এক কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে কেরানির চাকরি করতেন রামানুজানের বাবা কে শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার। মা কোমালাতাম্মাল ছিলেন গৃহিণী, মাঝে মাঝে স্থানীয় মন্দিরে গানও করতেন অবশ্য। রামানুজনের বয়স যখন দেড় বছর, তখন তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় তার ছোট ভাই সাদাগোপান। যদিও জন্মের তিন মাসের মধ্যেই মারা যায় সে। ১৮৮৯ সালের ডিসেম্বরে গুটি বসন্তে আক্রান্ত হন রামানুজন। সে বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪,০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন রামানুজন। মা’র হাত ধরে চলে আসেন নানাবাড়ি কাঞ্চিপুরামে। ১৮৯১ এবং ১৮৯৪ সালে আরও দুটি সন্তানের জন্ম দেন তার মা, তাদের কেউই প্রথম জন্মদিন পালন করা পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে বিচরণ করতে পারেনি। ১৮৯২ সালের ১ অক্টোবর স্থানীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হন রামানুজন। কাঞ্চিপুরাম আদালত থেকে তার নানার চাকরি চলে গেলে তিনি এবং তার মা আবারও কুম্বাকোনামে ফিরে আসেন। এবার রামানুজনকে ভর্তি করা হয় কাঙ্গায়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দাদার মৃত্যুর পর আবারও তাকে নানা-নানীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মাদ্রাজ অবশ্য তার খুব একটা ভালো লাগতো না। অবলীলায় স্কুল পালাতে শুরু করলেন তিনি। ছেলে যেন ঠিকমতো স্কুলে যায়, তা নিশ্চিত করতে একজন কনস্টেবল নিয়োগ করলেন রামানুজনের বাবা-মা। ফলাফল, ছয় মাসের মধ্যে আবারও কুম্বাকোনামে চলে আসেন তিনি। রামানুজনের বাড়িটি এখন ‘শ্রীনিবাস রামানুজন ইন্টারন্যাশনাল মনুমেন্ট’ হিসেবে পরিচিত। বাবা যেহেতু সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, মায়ের তত্ত্বাবধায়নেই বেড়ে উঠতে থাকলেন রামানুজন। মায়ের সাথে তার সম্পর্কটা ছিল খুব ঘনিষ্ঠ। ধর্মীয় গান, সংস্কৃতি, পূজা-পাঠ, ব্রাক্ষ্মণদের জীবনাচরণের সবটাই তিনি শিখেছেন মায়ের কাছ থেকে। কাঙ্গায়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখায় বেশ ভালো ফলাফল করতে লাগলেন রামানুজন। বয়স দশ বছর হওয়ার আগেই তিনি ইংরেজি, তামিল, ভূগোল আর পাটিগণিতে পুরো জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পাস করেন। ১৮৯৭ সালে তিনি ভর্তি হন টাউন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, এখানেই তিনি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে গণিতের সাথে পরিচিত হন। বয়স যখন এগারো, তখনই তিনি বাড়িতে জায়গীর থাকা দুই কলেজ ছাত্রের গাণিতিক জ্ঞান বলতে গেলে গুলিয়ে খেয়ে ফেলেছিলেন। উচ্চতর পর্যায়ের ত্রিকোণমিতি শেখার জন্য এস. এল. লুনির একটি বই ধার নেন তিনি। তের বছর বয়সে এই বইয়ের জটিল সব সমস্যার সমাধান নিজে নিজে করতে শেখেন। বয়স চৌদ্দ হওয়ার পর স্কুল থেকে তার মেধার প্রতি সম্মান জানিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া হয় এবং স্কুলের ১,২০০ ছাত্রের হিসাব রাখার ক্ষেত্রে ৩৫ জন শিক্ষক সমৃদ্ধ লজিস্টিক বিভাগকে পুরোদমে সাহায্য করতেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই গণিতের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে দিতেন রামানুজন। জ্যামিতি এবং অসীম সিরিজের অংক করে ফেলতেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ১৯০২ সালেই তাকে ঘন সমীকরণের মতো জটিল অংক করতে দেখা যায়। চতুর্ঘাত সমীকরণের সমাধান করার নিজস্ব পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি। পঞ্চঘাতের সমীকরণ বের করারও চেষ্টা করেন, তবে তিনি জানতেন না মূলক দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব নয়। ১৯০৩ সালে ষোল বছর বয়সী রামানুজন এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে নিয়ে পড়েন জি. এস. কারের ‘এ সিনোপসিস অফ এলিমেন্টারি রেজাল্টস ইন পিউর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ম্যাথম্যাটিকস’ বইটি। এখানে প্রায় ৫,০০০ উপপাদ্যের সাথে পরিচয় হয় তার। এই বইটিকে রামানুজনের ‘প্রতিভা জাগানিয়া গ্রন্থ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বারংবার বইটি পড়তে থাকেন তিনি। পরের বছর তিনি একা একাই বার্নুলির সংখ্যাগুলো নিয়ে কাজ করেন এবং ইউলার-মাশকেরনির ধ্রুব সংখ্যাগুলো ১৫ ডেসিম্যাল পর্যন্ত উন্নীত করেন। তার সঙ্গীরা বলতেন “আমরা তাকে খুব কমই বুঝি” আর “তার প্রতি আমাদের আশ্চর্যজনক সম্মান রয়েছে”। ১৯০৪ সালে টাউন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করার পর রামানুজনকে গণিতের জন্য কে. রাঙ্গানাথা রাও পদকে ভূষিত করা হয়। সে সময়ে তিনি গভীর গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ∑(1/n) সিরিজটি নিয়ে তিনি রীতিমতো তদন্ত চালিয়ে যান। স্কুলে ভালো পারফর্ম্যান্সের সুবাদে সে বছরই কুম্বাকোনাম সরকারি কলেজে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান তিনি। যদিও পরের বছর সে বৃত্তি আর নবায়ন করা হয় নি, কেননা তিনি গণিত নিয়ে এতটাই মেতে ছিলেন যে অন্যান্য বিষয়কে বলতে গেলে পুরোপুরি উপেক্ষা করে গেছেন। অর্থের যোগান ছাড়া বেশ ঝামেলায় পড়ে যান তিনি, এদিকে বাবা-মাকে কিছু জানাবেন, সে উপায়ও নেই। মাদ্রাজ শহর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার উত্তরে ভিজাগাপাত্নামে পালিয়ে যান তিনি। সেখানে গিয়েও গণিতের কাজেই মন দেন রামানুজন। সে সময়ে অধিজ্যামিতিক সিরিজ নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইন্টিগ্রাল এবং সিরিজের মধ্যকার সম্পর্ক নির্ণয়ের প্রচেষ্টাও চালাতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন, তিনি আসলে উপবৃত্তাকার ফাংশন নিয়ে কাজ করছিলেন। ১৯০৬ সালে রামানুজন মাদ্রাজের পাছাইয়াপ্পার কলেজে ভর্তি হন। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ফাইন আর্টস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া, যাতে করে তিনি মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। তিন মাস কলেজে পড়ার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিলেও তিনি পরীক্ষায় ঠিকই অংশগ্রহণ করেন। গণিতে পাস করলেও বাকি সব বিষয়ে অকৃতকার্য হন তিনি। তার মানে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ যায় তার জন্য। পরবর্তী বছরগুলোতে গণিত বিষয়ে তার নিজের ধারণাগুলো উন্নত করার চেষ্টা করেন। কারো সাহায্য ছাড়া এবং কোনো প্রকারের সমসাময়িক গবেষণা পত্রের ধারণা ব্যতীত তিনি কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন, জ্ঞান বলতে তার সহায়ক ছিল শুধু কারের বইটি। তার গাণিতিক কার্যাবলী ১৯০৮ সালে উন্নীত হয় ভগ্নাংশ এবং অপসারণশীল সিরিজে। এই পর্যায়ে এসে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৯০৯ সালের এপ্রিলে তাকে একটি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অপারেশনের পর সুস্থ হতে যথেষ্ট সময় লাগে তার। ১৯০৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মায়ের পছন্দে দশ বছর বয়সী এস. জানকী আম্মালকে বিয়ে করেন তিনি। জানকীর বয়স বারো বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা একত্রে বসবাস করেননি। রামানুজন তার গণিতের কাজগুলো চালিয়ে যেতে থাকেন। ‘জার্নাল অফ দ্য ইন্ডিয়ান ম্যাথম্যাটিক্যাল সোসাইটি’ নামক একটি পত্রিকায় তিনি বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা এবং তার সমাধান পাঠাতে থাকেন। ১৯১০ সালে এসে তিনি উপবৃত্তাকার মডুলার সমীকরণের সমাধান বের করে ফেলেন। ১৯১১ সালে উক্ত জার্নালে বার্নুলি নম্বর নিয়ে দুর্দান্ত একটি গবেষণা পত্র তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের জ্ঞান না থাকলেও গণিত জগতের প্রডিজি হিসেবে মাদ্রাজে বেশ নাম করেন রামানুজন। ১৯১১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ম্যাথম্যাটিকাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতার কাছে চাকরির জন্য পরামর্শ চান। এরপরেই তিনি তার জীবনের প্রথম চাকরিতে নিযুক্ত হন যা ছিল মাদ্রাজের অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের অফিসে একটি অস্থায়ী পোস্ট। বলা হয়, তখনই তিনি নিলোরের কালেক্টর রামাচন্দ্র রাওয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। রামাচন্দ্র রাও ভারতীয় গাণিতিক সংসদের পক্ষ থেকে গণিত লাইব্রেরিটি পরিচালনা করতেন। রামাচন্দ্র রাও রামানুজনকে মাদ্রাজ ফিরে যেতে বলেন। অন্যদিকে রামানুজনের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করতে থাকেন তিনি। কিন্তু তার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকায় বারবার অকৃতকার্য হন রামাচন্দ্র। ১৯১২ সালে রামানুজন মাদ্রাজ পোর্ট ট্রাস্টে কেরানির পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। গাণিতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার জন্য মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট সব গণিতজ্ঞরা রামানুজনকে চিনতেন। কাজেই চাকরির আবেদনপত্রের সাথে ক্যামব্রিজের সেইন্ট জনস কলেজ থেকে পাস করা প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ই. ডব্লিউ. মিডল্মাস্টের একটি প্রশংসাপত্র যোগ করতে বেগ পেতে হয়নি তার। এই প্রশংসাপত্রের জোরে কেরানির চাকরিটি পেয়েও যান তিনি। ১৯১২ সালের ১ মার্চ কাজে যোগ দেন রামানুজন। সৌভাগ্যবান রামানুজন তার চারপাশে গণিতে দক্ষ বেশ কিছু ব্যক্তির দেখা পেয়ে যান। মাদ্রাজ পোস্ট ট্রাস্টের প্রধান হিসাবরক্ষক এস. এন. আইয়ার ১৯১৩ সালে রামানুজনের কাজের উপর ভিত্তি করে ‘অন দ্য ডিস্ট্রিবিউশন অফ প্রাইমস’ নামে একটি লেখা প্রকাশ করেন। মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক সি. এল. টি. গ্রিফিথ রামানুজনের মেধা ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গণিতের অধ্যাপক এম. জে. এম. হিলের সাথে যোগাযোগ করেন। ১৯১২ সালের ১২ নভেম্বর রামানুজনের কাজের কিছু নমুনা, বিশেষত বার্নুলি সংখ্যা নিয়ে তার লেখাটি হিলের কাছে পাঠান। হিল বেশ উৎসাহের সাথে চিঠির উত্তর দেন, কিন্তু রামানুজনের বিকিরণশীল সিরিজের উত্তরটা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি বলে জানান। ব্রমউইচের ‘অসীম সিরিজের তত্ত্ব’ পড়ার পরামর্শটি মনঃপুত হয় না রামানুজনের। ই. ডব্লিউ. হবসন এবং এইচ. এফ. বেকারের কাছে চিঠি লিখে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন তিনি, কিন্তু দুজনের কেউই উত্তর দেননি সেই চিঠির। ১৯১৩ সালে রামানুজন জি. এইচ. হার্ডির ‘অর্ডারস অফ ইনফিনিটি’ বইটি দেখে তাকে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি তার কাজের কিছু নমুনাও সংযুক্ত করেন। হার্ডি, লিটলউডকে সঙ্গে নিয়ে রামানুজনের অপ্রমাণিত উপপাদ্যের বিশাল লিস্টটি চেক করতে বসেন। কিছুদিন পর রামানুজন একটি উত্তর পান যাতে অনেক কিছুর ভেতর লেখা ছিল, “এখানে বেশ কিছু নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব আছে বলে আমরা মনে করছি।”হার্ডির উত্তরে দারুণ খুশি হয়ে ওঠেন রামানুজন। তিনি অপর একটি চিঠিতে ইংল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে হার্ডিকে অনুরোধ করেন। ১৯১৩ সালের মে মাসে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের স্কলারশিপ পান তিনি। ১৯১৪ সালে হার্ডি রামানুজনকে নিয়ে যান ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে। অসাধারণ এক পরিবেশে গণিত চর্চার এই সুযোগ করে দেয়াটা হার্ডির পক্ষে মোটেই সহজ ছিল না। রামানুজন ছিলেন একজন গোঁড়া ব্রাক্ষ্মণ, তার উপর নিরামিষভোজী। শাস্ত্রমতে সাগর পাড়ি দেয়া তার একদম মানা ছিল, কিন্তু জ্ঞানের প্রতি অবাধ নেশা তাকে টেনে নিয়ে যায় সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে। ১৯১৪ সালের ১৪ এপ্রিল লন্ডন পৌঁছান রামানুজন। চারদিন পর ক্যামব্রিজে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বিদেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই খাবার নিয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। সর্বভূক এক জাতির সাথে নিরামিষভোজী এই মানুষ কীভাবে তাল মেলাবেন? তার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতেই শুরু হয়ে যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সব মিলিয়ে ক্রমেই শরীর ভেঙে পড়তে থাকে রামানুজনের। রামানুজনের আনুষ্ঠানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকায় তাকে নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় হার্ডিকে। লিটলউডকে দায়িত্ব দেয়া হয় রামানুজনের গাণিতিক পদ্ধতিগুলোর দেখভালের। তবে শীঘ্রই যুদ্ধে যোগদানের ডাক পড়ে লিটলউডের। আর এরই মধ্যে এসে যায় শীত। শীতের তীব্রতায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন রামানুজন। ১৯১৬ সালের ১৬ মার্চ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি (১৯২০ সাল থেকে এই ডিগ্রিটি পিএইচ. ডি. নামে পরিচিতি লাভ করে)। ইংল্যান্ডে তার সাতটি পেপার প্রকাশিত হয়।

 

Lionel Messi Biography

Lionel Messi is an Argentinian footballer widely regarded as one of the greatest players of the modern generation. He plays for FC Barcelona and the Argentina national team. He has won FIFA world player of the year four times (a record already). He has often been described as Diego Maradona’s successor because of his prolific goal scoring record and ability to dribble past opponents.

“I have seen the player who will inherit my place in Argentine football and his name is Messi. Messi is a genius, and he can become an even better player.”

His potential is limitless, and I think he’s got everything it takes to become Argentina’s greatest player.”

– Diego Maradona

Short Biography Lionel Messi

Lionel Messi was born, 24 June 1987, in Rosario, Argentina to a working-class family. His father was a factory steel worker, and his mother a cleaner.

He began playing from an early age, and his talent was soon apparent. However, at the age of 11, Messi was diagnosed with growth hormone deficiency (GHD). This was a condition that stunted growth and required expensive medical treatment, including the use of the drug Human growth hormone.

His local club, River Plate were interested in signing Messi but didn’t want to pay for his medical treatment. However, Messi was given a trial with Barcelona, and coach Carles Rexach was impressed – offering Messi a contract (written on a paper napkin!) which included paying for Messi’s treatment in Spain. Messi moved to Barcelona with his father and became part of the prestigious FC Barcelona youth academy.

“I made a lot of sacrifices by leaving Argentina, leaving my family to start a new life. But everything I did, I did for football, to achieve my dream. That’s why I didn’t go out partying, or do a lot of other things.”

– Lionel Messi

Messi progressed through the ranks and was given his first appearance in the 2004/05 season becoming the youngest player to score a league goal. In 2006, Messi was part of the double winning team which won both La Liga (Spanish League) and Champions League. By next season, (2006-07) aged just 20, Messi was the first choice striker and an essential part of the Barcelona team – scoring 14 goals in 26 league games.

In the 2009-10 season, Messi scored 47 goals in all competitions, equalling Ronaldo’s record total for Barcelona. As the seasons have progressed, Messi kept improving and breaking his own records. In the calendar year of 2012, he broke the all-time world record for most goals scored in a calendar year. His final total of goals in 2012 was 91 – beating the previous record of 85 by German Gerd Muller, and Pele’s milestone of 75 in 1958.

“My record stood for 40 years – 85 goals in a year – and now the best player in the world has broken it, and I’m delighted for him. He is an incredible player, gigantic.”

– Gerd Muller

At the start of 2013, in club football, Messi has scored 292 goals from a total of 359 appearances, and in international football, 31 goals from 76 appearances.

At the end of 2012, Messi turned down a very lucrative offer to play for an unnamed Russian side. It would have given Messi a salary of €20 million a year and made Messi the most expensive player in the world (Barcelona would have been paid €250 million). He turned down the offer because he was unsure if he would be playing in major European championships and the difficulties in moving to Russia. Instead, he signed a contract with Barcelona until the end of 2018. When asked about moving to the English Premier League, Messi revealed his sense of commitment to Barcelona.

“Barcelona is my life. They have brought me to where I am today. I could not leave, I don’t want to leave. I know the Premier League is very good. But I cannot see myself playing in England because my heart is with Barcelona, always.”

– Lionel Messi

International Career

Because Messi was brought up in Spain, since he was 11 years old, he has Spanish nationality. In 2004, he was offered the chance to play for Spain’s Under 20 side, but Messi decided to play for Argentina, the country of his birth. He led Argentina to victory in the 2005 FIFA Youth Championship. Messi made his full international debut in August 2005, during a friendly against Hungary. In his first game, Messi was sent off for allegedly elbowing a player. The decision was contentious and not in keeping with Messi’s style of play which is generally clean and in the spirit of fair play; he has very rarely been accused of diving.

In 2006, he participated in the World Cup, becoming Argentina’s youngest player to play in the world cup. Argentina were eliminated in the quarter-finals. In 2008, he won an Olympic gold medal for Argentina in football at the Beijing Olympics. Initially, Barcelona had not allowed him permission to play, but new coach Pep Guardiola allowed him time off.

In the 2010 World Cup, Messi wore the number 10 shirt and played well to help Argentina reach the quarter-finals, but Messi struggled to score, and Argentina disappointingly lost 4-0 to Germany in the quarter-final. Messi has admitted he is desperate to play in a world cup final. Success for Messi in the World Cup would be the last test of greatness. Pele, by contrast, was part of Brazil’s three times winning World Cup side ’58, ’62 and ’70.

Messi is widely regarded as one of the most exciting players of the modern age – in fact, any age. He has a peerless ability to dribble and take on opponents. Maradona has described his ball control as supremely good. “The ball stays glued to his foot; I’ve seen great players in my career, but I’ve never seen anyone with Messi’s ball control.” Messi has said he wishes to retain the joy of how a child plays football

“I have changed nothing, my style of play is still that of a child. I know that above all it is my job and that I should approach it in another way, but one must not lose sight of the fact that football is a game. It is imperative one plays to amuse oneself, to be happy. That is what children do and I do the same thing.” (total Barca)

– Lionel Messi

After winning the Ballon d’Or for the fourth time in January 2013, Messi said:

“To tell you the truth this is really quite unbelievable. The fourth award that I have had is just too great for words. ” (BBC)

Messi and Ronaldo

Messi has often been compared to prolific Real Madrid goalscorer Christiano Ronaldo, but both have been keen to downplay the rivalry.

“Messi has his personality and I have mine. He has his game and I have mine. I also play in a big club like him. We are different in every aspect. But right now, he is the best.”

—Christiano Ronaldo, in September 2011

Messi’s goalscoring record

Source: Christopher Johnson, Barcelona FC. CC-SA-2.5

By any standards, Messi’s goal scoring record is exceptional. By June 2019, he has scored 419 goals in 445 official matches for Barcelona FC.

• • In 2012/13, Messi set an all-time world record of scoring in 21 consecutive games (33 goals from 21 games)
  • He holds the Guinness World Record for most goals in a calendar year – 91 goals during 2012.
  • He is the only player to score in four consecutive Champions League campaigns.
  • His international record for Argentina is 68 goals from 133 appearances.

Messi major honours

Barcelona

• Spanish La Liga title(*10) : 2004–05, 2005–06, 2008–09, 2009–10, 2010–11, 2012–13, 2014–15, 2015–16
• Spanish Cup (*6) – Copa del Rey
• Supercopa de España (*6)
• UEFA Champions League (*4) : 2005–06, 2008–09, 2010–11, 2014-15
• UEFA Super Cup (*3)
• FIFA Club World Cup (3)

Argentina

• Olympic Gold Medal: 2008
• FIFA U-20 World Cup: 2005
• 2006 World Cup – QF
• 2010 World Cup – QF
• 2014 World Cup – Runners-up.
• 2018 World Cup

Wealth and income

Messi has frequently been the target of other football clubs with big transfer budgets, but he has remained loyal to Barcelona FC. He is one of the highest paid footballers in the world. His base salary is estimated at €40 million per year. His combined income 2018 from all sources was €126m. This made him the highest paid sports star – according to Forbes. From 2018, his weekly salary from Barcelona is $667,000 per week.

Private life

By the standards of modern football, Messi has a relatively private and modest lifestyle. He makes efforts to keep links to his hometown of Rosario. He has an Argentinian girlfriend Antonella Roccuzzo, and they have two children. His first child Thiago was born in November 2012.

Recommended Book – Lionel Messi – Real Bios

Lionel Messi – Real Bios at Amazon by Marie Morreale.

Messi acts as an ambassador for Unicef, and also runs his own charitable foundation – supporting access to education and sport for children. Because of his own expensive medical treatment, he has also helped Argentinian hospitals with paying for similar treatment to his own.

World Cup 2014

Many commentators have stated that Lionel Messi has performed at his best in all competitions, except the World Cup. In both the 2006 and 2010 World Cup, Argentina were knocked out in the quarter-finals, with Messi not at his best.

The 2014 World Cup in Brazil is an opportunity for Messi to make an impact on the highest stage of them all. In the opening game against, Bosnia – Herzegovina, Messi scored a great goal to give Argentina a winning start. He scored four goals to help Argentina reach the World Cup Final. In the final, Argentina lost 1-0 to Germany. Messi was awarded ‘Golden Ball’ player of the tournament, though the decision was not universally supported. After the tournament, Messi replied:

“I do not care about the Golden Ball. I am just upset by the wasted chances. We had the best chances. We knew we could not dominate the game but we knew what we wanted to do. Right now I do not care about my prize. I just wanted to lift the cup and bring it to Argentina. The pain is very great.”

In June 2016, a very disappointed Messi announced his retirement from international football, after missing a penalty as Argentina got knocked out of the Copa America final. However, Messi later reversed his decision, saying he loved playing for Argentina too much, and “I see there are many problems in Argentinian football and I don’t intend to create another one.”

However, Messi returned to international football and led Argentina in the 2018 World Cup. Despite carrying the weight of expectation of a nation, the World Cup was considered a great dissappointment. However, in the 2018/19 season Messi returned to his usual scintillating performance with Barcelona.

Published 10 January 2018. Last updated 10 December 2019.

Stats

• Full name Lionel Andrés Messi
• Date of birth 24 June 1987 (1987-06-24)
• Place of birth Rosario, Argentina
• Height 1.69 m (5 ft 7 in)
• Playing Position: Forward
• Total club appearances 684. Total Goals 578 (Dec. 2018)
• Total international appearances 151. Total Goals 81 (Dec. 2018)
• La Liga titles with Barcelona (9)
• UEFA Champions League (4) 2005–06, 2008–09, 2010–11, 2014–15
• FIFA Ballon d’Or/Ballon d’Or (5)
• Guinness World Record as top goalscorer for club and country in a calendar year: 91 goals in 2012

 

Michael Jordan Biography

Michael Jordan (MJ) is considered the greatest basketball player of all time. He was voted NBA most valuable player a record five times. Playing most of his career for the Chicago Bulls, he won six NBA Championships. Michael Jordan also became one of the most marketed sportsmen, with lucrative endorsements with Nike, helping to make the Nike Air shoe one of best-known trainers in the world. His career and high profile coincided with a rapid growth in the popularity of NBA basketball, and his personal achievements are considered a major factor in boosting the popularity of basketball. The NBA Website says of Michael Jordan:

“A phenomenal athlete with a unique combination of fundamental soundness, grace, speed, power, artistry, improvisational ability and an unquenchable competitive desire, Jordan single-handedly redefined the NBA superstar.” (NBA)

Michael Jordan was born in Brooklyn, New York. But, his family moved to North Carolina where he grew up. As a sophomore, at times, he struggled to get in the High School Team due to his low height. Instead, he concentrated on other sports, such as baseball. But, as a late developer, he grew to 6 foot 3 inch and this helped him to dominate the junior court. Michael Jordan attended the University of North Carolina where he was named College Player of the Year but the Sporting News. In 1984, he was picked in the NBA draft by the Chicago Bulls.

In 1984, he was also selected to be in the US Olympic basketball team, where, with the team, he won the gold medal.

The 1984 season saw the emergence of Michael Jordan as a supreme player. Crowds at the Chicago Bulls increased as people came to see this exciting new talent. Jordan had excellent shooting statistics, but, he also had a distinct and rare ability to excite the crowds with his great dexterity, acrobatic dunks and dives. He seemed to float around the court with effortless ease. Jordan became more than just the best player on the pitch, he exuded something unique and stylish. He also gained a reputation for being one of the best defensive players in basketball. He managed to combine this athletic excellence with a humility that endeared him to the public even more. He later said that what he achieved was only possible because of former great players who taught and helped him to evolve.

In the late 1980s, Jordan led an increasingly successful Chicago Bulls team. They won their first championship in 1991 and went on to win six titles in the space of nine years. Along the way, Jordan broke many of the long-standing NBA records. In 1988-89, he led the league with 32.5 points per game.

In 1992, Jordan again returned to the Olympics. This time as a full professional – Jordan was part of the ‘Dream Team’. The US easily won the Olympic gold – with their opponents often admitting they felt honoured to be on the same court as Michael Jordan and the ‘dream team’.

However, in 1993, a series of personal difficulties caused him to temporarily retire from the game. His father was murdered during an armed robbery, devastating Jordan who saw his father as his closest confidant. He was also struggling with his own gambling issues.

For a short time, he made a foray into baseball, playing the 1994 season for the Birmingham Barons. But, in the 1994-95 season, he came back to his primary love – basketball. Despite losing some of his youthful speed, Jordan still had the magic touch and led the Chicago Bulls to the semifinals with some stellar performances. The next year, 1995-96, he led the Chicago Bulls to another title.

Jordan continued to play until past his 40th birthday in the 2002-03 season.

After he finally retired, he had played a total of 1,072 games, with a points per game average of 30.1 and a total of 32,292 points.

After making his final retirement, Jordan has concentrated on management and ownership.

In June 2006, he bought a minority stake in the Charlotte Bobcats and later gained outright ownership, becoming the first former NBA star to become the majority owner of a league franchise.

In June 2010, Jordan was ranked by Forbes Magazine as the 20th-most powerful celebrity in the world with $55 million earned between June 2009 and June 2010. According to the Forbes article, Jordan Brand generates $1 billion in sales for Nike.

“Limits, like fears, are often just an illusion”

– Michael Jordan 2009

In 1999, he was named the greatest North American athlete of the 20th century by ESPN, and was second to Babe Ruth on the Associated Press’s list of athletes of the century. He was inducted into the Basketball Hall of Fame in 2009.

Michael Jordan Career Highlights

• 6× NBA Champion (1991, 1992, 1993, 1996, 1997, 1998)
• 5× NBA Most Valuable Player (1988, 1991–1992, 1996, 1998)
• 14× NBA All-Star (1985–1993, 1996–1998, 2002–2003)
• 6× NBA Finals MVP (1991–1993, 1996–1998)
• 10× NBA scoring champion (1987–1993, 1996–1998)
• 3× NBA steals champion (1988, 1990, 1993)
• NBA Defensive Player of the Year (1988)
• 10× All-NBA First Team (1987–1993, 1996–1998)

Olympic Games

• Gold 1984 Los Angeles United States
• Gold 1992 Barcelona United States

Points

• Points 32,292 (30.1 ppg)
• Rebounds 6,672 (6.2 rpg)
• Assists 5,633 (5.3 apg)
• Stats at NBC

Mother Teresa Biography

 

Biography Mother Teresa

Mother Teresa (1910–1997) was a Roman Catholic nun who devoted her life to serving the poor and destitute around the world. She spent many years in Calcutta, India where she founded the Missionaries of Charity, a religious congregation devoted to helping those in great need. In 1979, Mother Teresa was awarded the Nobel Peace Prize and became a symbol of charitable, selfless work. In 2016, Mother Teresa was canonised by the Roman Catholic Church as Saint Teresa.

“It is not how much we do,
but how much love we put in the doing.
It is not how much we give,
but how much love we put in the giving.”

– Mother Teresa. From: No Greater Love

Short Biography of Mother Teresa

Mother Teresa was born in 1910 in Skopje, the capital of the Republic of Macedonia. Little is known about her early life, but at a young age, she felt a calling to be a nun and serve through helping the poor. At the age of 18, she was given permission to join a group of nuns in Ireland. After a few months of training, with the Sisters of Loreto, she was then given permission to travel to India. She took her formal religious vows in 1931 and chose to be named after St Therese of Lisieux – the patron saint of missionaries.

On her arrival in India, she began by working as a teacher; however, the widespread poverty of Calcutta made a deep impression on her, and this led to her starting a new order called “The Missionaries of Charity”. The primary objective of this mission was to look after people, who nobody else was prepared to look after. Mother Teresa felt that serving others was a fundamental principle of the teachings of Jesus Christ. She often mentioned the saying of Jesus,

“Whatever you do to the least of my brethren, you do it to me.”

As Mother Teresa said herself:

“Love cannot remain by itself – it has no meaning. Love has to be put into action, and that action is service .” – Mother Teresa

She experienced two particularly traumatic periods in Calcutta. The first was the Bengal famine of 1943 and the second was the Hindu/Muslim violence in 1946, before the partition of India. In 1948, she left the convent to live full-time among the poorest of Calcutta. She chose to wear a white Indian sari, with a blue border, out of respect for the traditional Indian dress. For many years, Mother Teresa and a small band of fellow nuns survived on minimal income and food, often having to beg for funds. But, slowly her efforts with the poorest were noted and appreciated by the local community and Indian politicians.

In 1952, she opened her first home for the dying, which allowed people to die with dignity. Mother Teresa often spent time with those who were dying. Some have criticised the lack of proper medical attention, and their refusal to give painkillers. Others say that it afforded many neglected people the opportunity to die knowing that someone cared.

Her work spread around the world. By 2013, there were 700 missions operating in over 130 countries. The scope of their work also expanded to include orphanages and hospices for those with terminal illnesses.

“Not all of us can do great things. But we can do small things with great love.”

—- Mother Teresa

Mother Teresa never sought to convert those of another faith. Those in her hospices were given the religious rites appropriate to their faith. However, she had a very firm Catholic faith and took a strict line on abortion, the death penalty and divorce – even if her position was unpopular. Her whole life was influenced by her faith and religion, even though at times she confessed she didn’t feel the presence of God.

The Missionaries of Charity now has branches throughout the world including branches in the developed world where they work with the homeless and people affected by AIDS. In 1965, the organisation became an International Religious Family by a decree of Pope Paul VI.

In the 1960s, the life of Mother Teresa was brought to a wider public attention by Malcolm Muggeridge who wrote a book and produced a documentary called “Something Beautiful for God”.

In 1979, she was awarded the Nobel Peace Prize “for work undertaken in the struggle to overcome poverty and distress, which also constitutes a threat to peace.” She didn’t attend the ceremonial banquet but asked that the $192,000 fund be given to the poor.

In later years, she was more active in western developed countries. She commented that though the West was materially prosperous, there was often a spiritual poverty.

“The hunger for love is much more difficult to remove than the hunger for bread.”

-— Mother Teresa

When she was asked how to promote world peace, she replied,”Go home and love your family”.

Over the last two decades of her life, Mother Teresa suffered various health problems, but nothing could dissuade her from fulfilling her mission of serving the poor and needy. Until her very last illness she was active in travelling around the world to the different branches of The Missionaries of Charity. During her last few years, she met Princess Diana in the Bronx, New York. The two died within a week of each other.

Following Mother Teresa’s death, the Vatican began the process of beatification, which is the second step on the way to canonization and sainthood. Mother Teresa was formally beatified in October 2003 by Pope John Paul II. In September 2015, Pope Francis declared:

“Mother Teresa, in all aspects of her life, was a generous dispenser of divine mercy, making herself available for everyone through her welcome and defense of human life, those unborn and those abandoned and discarded,”

“She bowed down before those who were spent, left to die on the side of the road, seeing in them their God-given dignity. She made her voice heard before the powers of this world, so that they might recognize their guilt for the crime of poverty they created.”

Mother Teresa was a living saint who offered a great example and inspiration to the world.

Awards given to Mother Teresa

• The first Pope John XXIII Peace Prize. (1971)
• Kennedy Prize (1971)
• The Nehru Prize –“for the promotion of international peace and understanding”(1972)
• Albert Schweitzer International Prize (1975),
• The Nobel Peace Prize (1979)
• States Presidential Medal of Freedom (1985)
• Congressional Gold Medal (1994)
• U Thant Peace Award 1994
• Honorary citizenship of the United States (November 16, 1996),

Citation: Pettinger, Tejvan. “Biography of Mother Teresa”, Oxford,

Suvendu adhikari biography

  Suvendu Adhikari (born 15 December 1970) is an Indian politician from the Bharatiya Janata Party. He is a member of the West Bengal Legislative Assembly from Nandigram. He is the current Leader of Opposition of the West Bengal Legislative Assembly. He previously served as the Minister of Transport, Irrigation and Water resource in West Bengal. He was a member of the 15th Lok Sabha and the 16th Lok Sabha (2014-2016), as an All India Trinamool Congress candidate, from Tamluk.

Suvendu Adhikari
Leader of the Opposition, West Bengal Legislative Assembly
Incumbent
Assumed office 10 May 2021
Preceded by	Abdul Mannan
Constituency	Nandigram
Member of West Bengal Legislative Assembly
Incumbent
Assumed office 2 May 2021
Preceded by	Himself
Constituency	Nandigram
In office 19 May 2016 – 16 December 2020
Preceded by	Firoja Bibi
Succeeded by	Himself
Constituency	Nandigram
Minister for Transport, Government of West Bengal
In office 27 May 2016 – 27 November 2020
Governor	Keshari Nath Tripathi Jagdeep Dhankhar
Chief Minister	Mamata Banerjee
Preceded by	Aroop Biswas
Succeeded by	Mamata Banerjee [1]
Minister of Environment, Government of West Bengal
In office 2018–2020
Chief Minister	Mamata Banerjee
Preceded by	Sovan Chatterjee
Succeeded by	Mamata Banerjee[1]
Member of Parliament, Lok Sabha
In office 16 May 2009 – 19 May 2016
Preceded by	Lakshman Chandra Seth
Succeeded by	Dibyendu Adhikari
Constituency	Tamluk
Chairperson of Jute Corporation of India
In office 31 December 2020 – 2 March 2021
Preceded by	Ajay Kumar Jolly
Personal details
Born	15 December 1970 (age 50) Contai, West Bengal, India
Political party	Bharatiya Janata Party
Other political affiliations	Indian National Congress (1995-1998) All India Trinamool Congress (1998-2020)
Father	Sisir Adhikari
Relatives	Dibyendu Adhikari (brother)
Residence	Contai, Purba Medinipur, West Bengal
Alma mater	Rabindra Bharati University (M.A) Contai P. K. College (B.A)
Profession	Politician

He is the son of Sisir Adhikari, former Union Minister of State for Rural Development in the Manmohan Singh government.^[7][8]

Credited as the man who galvanised the people of Nandigram under the umbrella of the Bhumi Uchhed Pratirodh Committee, when rumours of land acquisition for a chemical hub had triggered a movement, Suvendu Adhikari was a member of the Legislative Assembly from Contai. Suvendu defeated CPI(M)’s strongman Lakshman Seth by a margin of 1,72,958 votes.^[10] He resigned from the primary membership of all India Trinamool Congress and joined Bharatiya Janata Party in presence of Home Minister Amit Shah on 19 December 2020. He won the Nandigram assembly seat against TMC's supremo and Chief Minister of West Bengal of West Bengal Mamata Banerjee in 2021 by a margin of 1956 votes.

Personal life

Suvendu Adhikari was born on 15 December 1970 to Sisir Adhikari and Gayatri Adhikari at Karkuli in Purba Medinipur district in West Bengal. Suvendu's father Sisir Adhikari is a politician, and former Minister of State in Second Manmohan Singh ministry and was elected to the Lok Sabha from Kanthi constituency in 2019. One of Suvendu's brothers Soumen is the chairman of the Kanthi municipal corporation. Dibyendu Adhikari, elected to Lok Sabha in 2019 from Tamluk constituency, is also his brother. Suvendu received a Master of Arts degree from Netaji Subhas Open University.

Political career

Suvendu Adhikari was associated with the Rashtriya Swayamsevak Sangh in his youth.

Suvendu Adhikari was first elected as a councillor from Indian National Congress in the Contai Municipality in 1995. In 2006, Adhikari was elected to the West Bengal Legislative Assembly from Kanthi Dakshin constituency. He also became the chairman of Kanthi Municipal Corporation in the same year.

In 2007, Adhikari spearheaded the anti-land-acquisition movement in the Nandigram. He led the Bhumi Uchhed Pratirodh Committee. The ruling Left Front government in West Bengal planned to acquire 10,000 acres of land in the village to set up a special economic zone. This movement catapulted Mamata Banerjee to the centre-stage of Bengali politics. The state CID alleged that Adhikari had supplied arms to the Maoists to wage an armed movement against the state government. 

After Adhikari's success in Nandigram, Banerjee made him the party's observer (in-charge) of the Jangal Mahal i.e. Paschim Medinipur, Purulia and Bankura districts. He was successful in expanding the party's base in these districts. In 2009, he was elected to the Lok Sabha from the Tamluk constituency.  He defeated his nearest rival Lakshman Seth of Communist Party of India (Marxist) by a margin of approximately 173,000 votes.

In the 2016 West Bengal Legislative Assembly election, Adhikari was pitted against Abdul Kadir Sheikh of the Left Front - Indian National Congress alliance in Nandigram constituency. After getting elected, he resigned as an MP from Tamluk constituency. He was sworn in as the Minister of Transport in the Second Mamata Banerjee ministry on 27 May 2016. Adhikari resigned from the post of chairman of Hooghly River Bridge Commission (HRBC), a statutory body under the Government of West Bengal on 26 November 2020. He also resigned as West Bengal Transport Minister on 27 November 2020. He had tendered his resignation to the speaker of West Bengal Legislative Assembly as MLA on 16 December 2020 which was not accepted by the speaker initially on grounds of technicality. However, it was eventually accepted on 21 December 2020. On 17 December 2020 he resigned from the primary membership of All India Trinamool Congress.

On 19 December 2020, he joined Bharatiya Janata Party in presence of Home Minister Amit Shah. He defeated sitting chief minister of West Bengal on Nandigram assembly seat in 2021.

Electoral history

• 1995 : Elected as a councillor from Indian National Congress in the Contai Municipality
• 2006 : Elected to West Bengal Vidhan Sabha, from Kanthi Dakshin (Vidhan Sabha constituency) as member of AITC .
  • Resigned mid-term to join Lok Sabha
• 2009 : Elected to Lok Sabha, from Tamluk (Lok Sabha constituency), member of AITC (All India Trinamool Congress)
• 2014 : Elected to Lok Sabha, from Tamluk (Lok Sabha constituency)
  • Resigned mid-term to join Vidhan Sabha
• 2016 : Elected to West Bengal Vidhan Sabha, from Nandigram (Vidhan Sabha constituency), member of AITC
• 2021 : Elected to West Bengal Vidhan Sabha, from Nandigram (Vidhan Sabha constituency), member of BJP

Controversies

Adhikari was interrogated by the Central Bureau of Investigation in September 2014 for his alleged role in the Saradha Group financial scandal. A former employee of the company alleged the company's head Sudipto Sen met Adhikari before fleeing to Kashmir. Adhikari rejected such allegations.